নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার অবহেলিত হাওড় জনপদ ও জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শুরুতেই গত ৭ বছরে হাওড় উপজেলা নিকলী ও মিঠামইনে পপি-রিকল প্রকল্পের কার্যক্রম প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। সম্প্রতি শহরের বত্রিশে পপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, হাওড়ের নারী-পুরুষ সকলের বর্ষাকালে ৬ মাস কোনো কাজ থাকে না। এ সময় তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। কেবল কৃষি নয়, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে উৎপাদনমুখী বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারীদেরও বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ শেখাতে হবে। তাহলে তারা সংসারে যেমন অবদান রাখতে পারবেন, তেমনি তাদের সামাজিক এবং পারিবারিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে। এসব নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
পপির নির্বাহী পরিচালক মুর্শেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ আজিমুদ্দিন বিশ্বাস। এছাড়াও বক্তৃতা করেন সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, অক্সফাম কর্মকর্তা আনিসুর রহমান সরকার ও মোস্তফা আলী, পপি-রিকল সমন্বয়কারী মোশারফ হোসেন খান, নিকলীর ছাতিরচর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, ডাঃ ওয়াহিদুল আলমসহ অন্যরা।
প্রসঙ্গত: হাওড় উপজেলা নিকলী ও মিঠামইনের অবহেলিত গ্রাম এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে অক্সফামের সহায়তায় পপি-রিকল প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। প্রকল্পটি আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে কর্মএলাকার স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে বেসরকারি সংস্থা পপি ও বিদেশী সাহায্য সংস্থা অক্সফাম এ পরামর্শ সভার আয়োজন করে।